ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ
মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও
যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে । বিভাগীয় এবং জেলা শহর সমূহের জন্য ৬৫ ও ৫৫ মিটার
উচ্চতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নতমানের
লেডার ক্রয় করা হবে । তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর
ক্ষেত্রে উন্নত দেশের মত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে ।
প্রতিমন্ত্রী আজ মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ
প্রশমন দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত
‘ভূমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ডে করণীয়’ বিষয়ক সচেতনতামূলক মহড়া’য় প্রধান অতিথির
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোহাম্মদ
নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ
সদস্য মোঃ আগা খান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আবুল কাশেম মোল্লা ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান ত্রাণ নির্ভর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসমূলক কার্যক্রম
গ্রহণ করেন । ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার ব্যবস্থা শুরু করেন। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর
জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচারে
সিপিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা
শুরু করেছিলেন যাঁরা আগাম সতর্কবার্তা প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের
মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে । সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক
সংখ্যা বর্তমানে ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সচেতনতা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পূর্বপ্রস্তুতি
থাকলে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব । প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার সরকার সে কাজটাই করে যাচ্ছে । ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী ও বুলবুল এবং ২০২০
সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে । এসব ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়
সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে । এবছর ঘূর্ণিঝড়
‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। দারিদ্র্যমোচনসহ সামাজিক
নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত
পদক্ষেপসমূহ প্রশংসিত হয়েছে সারাবিশ্বে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এখন
বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়