ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) : 
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলমান করোনা মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়,
বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এডিপি বাস্তবায়নে
সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাদের
সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি
নিয়েও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মতো সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি কঠোর পরিশ্রম
করে যাচ্ছেন।
কৃষিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন
অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতিদ্রুত লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের জাত
সম্প্রসারণের জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করে বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিধান ৬৭, ব্রিধান
৯৭, ব্রিধান ৯৯, বিনা-১০সহ অনেকগুলো লবণাক্তসহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়েছে।
এগুলোর পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি আরো
বলেন,আমাদের চাষের জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জের
মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতাকে টেকসই করতে হলে আরও নতুন জাত ও
প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক
উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের মে ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৭৬%। এ অগ্রগতি
জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮% বেশি। মে মাস পর্যন্ত জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৮%।
অবশিষ্ট এক মাসের মধ্যে প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এছাড়া, বাস্তবায়ন
অগ্রগতির এই হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭% বেশি। গত বছর মে, ২০২০
পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ছিল ৫৯%, মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৭৬৩ কোটি
টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। অথচ, সেখানে চলমান ২০২০-২১
অর্থবছরের ৮৫টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকার মধ্যে ১
হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে।
 
 সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহসহ মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত
বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এডিপি মিটিংয়ের আগে মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ প্রদান
করেন। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও দপ্তর/সংস্থার মধ্যে ৩ জনকে এ পুরস্কার প্রদান
করা হয়। দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
মো: আসাদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে উপসচিব এস এম ইমরুল
হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল বাতেন সিরাজী পুরস্কার পান।