মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহী, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন  বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নতুন অডিটারিয়ামে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ গোদাগাড়ী এপি ম্যানেজার লাবলু খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম।

শিশু ফোরামের সভাপতি মুনিরা  খাতুন, প্রোগ্রাম অফিসার মিল্টন রোজারিওর সঞ্চলনায় বক্তব্য প্রদান করেন, গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক, গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম, রাজশাহী ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার সেবাস্টিয়ান পিউরীফিকেশন, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টার, যুবফোরামের সভাপতি নমিতা  কুজুর প্রমূখ।

উপস্থিত ছিলেন উপজলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ সুফিয়া খাতুন মিলি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ, পৌরসভা আওয়ামীলীগের  সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম, গোদাগাড়ী শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বরজাহান আলী পিন্টু, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সিনিয়র  সাংবাদিক, কলামিষ্ট মোঃ হায়দার আলী, গোদাগাড়ী গৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ প্রমূখ।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়িয়ে, কেক কেটে  দিবসের শুভসূচনা করা হয়। কোরআন তেলায়াত, গীতাপাঠ, বাইবেল পাঠ দিয়ে অতিথি বৃন্দের বক্তব্য শুরু করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি  বলেন, এ গৌরবের  মাসে ওয়ার্ল্ড ভিশন আরও গৌরব, আনন্দ, বৃদ্ধি করেছেন। এ সংস্থাটি গোদাগাড়ী তানোরে অনেক গরীব মানুষ, শিশুদের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ করেছেন। অনেক ভাল কাজ করেছেন ওয়ার্ল্ড ভিশন করেছেন। পাহাড়ি আদিবাসী আর সমতল আদিবাসী দের মধ্যে সরকারের সাহায্য, অনুদান, শিক্ষা বৃত্তিসহ ভাগ্যের পরিবর্তনে অনেক বৈষম্য রয়েছে। বৈষম্য দূর করতে এব্যপারে সংসদে কথা বলা হয়েছে, কিন্ত এখনও হয়নি। আশা করি হয়ে যাবে। ২ বছর পর যদি এসংস্থাটি চলে যায় তবে আদিবাসীদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। তারা যেন এ কার্যক্রম অব্যাহত ভাবে কাজ করতে পারে সেদিকে সুনজর দিবেন। এ প্রতিষ্ঠানটি একটি ধন্য প্রতিষ্ঠান। আমাদের সকলের উচিৎ একটি মানুষকে সাহায্য করতে পারি। এভাবে পর্যায় ক্রমে অনেক মানুষকে মানবিক সাহায্য করতে পারবো বাংলাদেশ ধন্য হবে। আমি যতদিন  বেঁচে থাকবো ততদিন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সাথে কাজ করবো। আমি যদি এমপি না হয়ে যদি ওয়ার্ল্ড ভিশনের একজন বড় কর্মকর্তা হলে বেশী ভাল হতো। তাদের কাজের সাথে একমত পোষন করচ্ছি।

৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  বাংলাদেশের সকল শিশুর জন্য আশা, আনন্দ ও নায্যাতার স্বর্ণালী ৫০ বছর, প্রজেক্টরের মাধ্যমে  বিভিন্ন দৃশ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশুসহ উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে থিম সং, উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে একটি ভিডিও উপস্থাপন করেন প্রোগ্রমার  ডেভিড সাংমা। থিম সং টি, ভিডিও টি উপস্থিত দর্শকদের নজর কাড়ে।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, দরিদ্রদের বকনা গরু প্রদান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় টয়লেট নির্মান করে দয়া, শারিরীক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা, সমাধান করে দেয়া, শিক্ষা বৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ  প্রদান, শিশুদের নেতৃত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,  উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। আর  ২ বছর পর ওয়ার্ল্ড ভিশন তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়ে চলে যাবেন এটা সত্যি দুঃখজনক, আরও কিছু দিন কাজ করলে গোদাগাড়ীর মানুষ উপকৃত হতেন।৭ হাজার মানুষ সরাসরি উপকার ভোগ করছেন। পরোক্ষভাবে ৪২ হাজার মানুষ উপকার ভোগ করছেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য  আরও দীর্ঘদিন কাজ করবে এ দাবি জানান বক্তারা। গত ২ বছরে ৫ শত ৬০ টি গরীর মানুষের  বকনা গরু প্রদান করেছেন। ওয়ার্ল্ড ভিশন ও বাংলাদেশে জন্ম প্রায় একই সময়। ২৪ জেলায় এ সংস্থা কাজ করে।