ঢাকা, ২৯ পৌষ (১৩ জানুয়ারি):

বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের পাসপোর্ট বাতিল হতে পারে বলেছেন তথ্য
ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক
প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশে
হানাহানির উদ্দেশ্যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করা, বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালানো, এসব
রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যক্রম। কেউ যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকে,
রাষ্ট্র তার পাসপোর্ট বাতিল করতে পারে। গতকাল আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির
সভায় সেই সিদ্ধান্তই হয়েছে। চিহ্নিত কয়েকজন আছে যারা ক্রমাগতভাবে এই কাজগুলো করে
যাচ্ছে, আরো কারা এর সাথে যুক্ত প্রয়োজনে সেই তালিকাও করা হবে।’

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো বে কারাগারে
মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে কারাগারটি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এ
প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো বে একটি কুখ্যাত
কারাগার, যেখানে গত বিশ বছর ধরে বন্দিদের বিনা বিচারে আটক রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং
মানবাধিকারের প্রচণ্ড লঙ্ঘন হচ্ছে। এবং এই কারাগার যে নির্যাতন করার জন্য, সেটি সারা
পৃথিবী জানে। জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস এক্সপার্টদের গতকালের বিবৃতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে
দেখিয়ে দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে কিভাবে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। সেই বিবৃতিতে এটিও বলা
হয়েছে, যে দেশটি সারা পৃথিবীতে মানবাধিকার রক্ষার কথা বলে তাদের দেশে কিভাবে মানবাধিকার
চরমভাবে লঙ্ঘিত হয় আর তারই উদাহরণ হচ্ছে গুয়ান্তানামো বে কারাগার।’

বিভিন্ন জেলায় বিএনপি’র সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের
জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি গত
কিছুদিন ধরে বিএনপি সারা দেশে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে
সমাবেশ করছে। এবং সমাবেশ করতে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে,
চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করছে। গতকাল চট্টগ্রামে আরো একধাপ এগিয়ে মঞ্চটাই ভেঙে দিয়েছে। যে
মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতারা বক্তৃতা করছিলেন তাদের হুড়োহুড়ি-মারামারিতে মঞ্চ ভেঙে গেছে। যারা

সঠিকভাবে নিজেদের সমাবেশ করতে পারে না, মারামারি করে এবং সমাবেশ করতে গিয়ে মঞ্চটা
ভেঙে ফেলে তারা কিভাবে দেশ পরিচালনার কথা ভাবে সেটাই আমার প্রশ্ন।’
এসময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের মন্তব্য ‘খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে জেলের
তালা ভেঙে বিদেশে নেওয়া হবে’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা আব্বাসসহ বিএনপি’র যে
সমস্ত নেতা বোরকা পরে জামিন নেয়ার জন্য হাইকোর্টে যায়, তারা যখন একথা বলেন, তখন তা
মানুষের মনে হাস্যরসের উদ্রেক ঘটায়।’