ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জনগণের জীবন এবং
জীবিকার মধ্যে ব্যালেন্স প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকার লকডাউন শিথিল করেছে। তিনি
বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারা পৃথিবীতে মানুষের জীবন-জীবিকার মধ্যে
বিরাট চাপ পড়ছে। জনগণ যাতে সুস্থ থাকে সেজন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আবার
জনগণের জীবিকার জন্যও সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হয়, সচেতন থাকতে হয়। জনগণের
জীবন এবং জীবিকার মধ্যে ব্যালেন্স প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা করা দরকার সরকার তাই
করছে।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার বিভিন্ন
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময়
সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুইটি
আনন্দের দিন। ঈদুল আজহার সময় মানুষ আল্লাহর নামে পশু কোরবানি দেয়। এটা সারা
বিশ্বের মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই কোরবানির ঈদ পালন করার জন্য যদি
লকডাউন একটু শিথিল করা হয় তাহলে সেটা কি অন্যায়?
‘সরকার ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিল করে করোনা ভাইরাস সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার
জন্য যে ব্যবস্থা করেছে, তাতে শেষ পর্যন্ত দেশ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হতে পারে’ বলে
যারা মন্তব্য করেছেন তারা কতটা বিবেকবান?- প্রশ্ন ছুড়ে দেন আনিসুল হক।
সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সাথে কোরবানির ঈদ
উদ্‌যাপন করার জন্য ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান আনিসুল হক।
পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া,
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।