ঢাকা, ১২ অগ্রহায়ণ (২৭ নভেম্বর) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৮ নভেম্বর মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী
লীগের প্রাক্তন সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর
স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন
ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। বাঙালির মুক্তিসনদ ৬-দফা ঘোষণার সময় থেকে
তিনি জাতির পিতার একান্ত সহকারী হিসেবে অত্যন্ত একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব
পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বৈরাচারবিরোধী
গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই জননেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন
করেন।

বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। সেদিন
মোহাম্মদ হানিফসহ দলের নেতারা মানবঢাল তৈরি করে আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা
করেন। মস্তিষ্কসহ তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে গ্রেনেডের অসংখ্য স্প্রিন্টার ঢুকে পড়ে।
তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও মস্তিস্কের
স্প্রিন্টার নিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত
এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ মানুষের হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়
বেঁচে থাকবেন।

আমি আশা করি, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের
রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে এবং দেশ ও জাতির
কল্যাণে নিবেদিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিজেদের
আত্মনিয়োগ করবে।

আমি মোহাম্মদ হানিফের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”