১৬ ডিসেম্বর, ২০২২:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ বেতার ও মাইটিভির সংবাদ উপস্থাপক, সালথা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্য, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ রেজা’র লেখা গানে এবার কন্ঠ দিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী স্বরলিপি।
কোলকাতার জি-বাংলার জনপ্রিয় ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা ‘সা-রে-গা-মা-পা এর ২০১২-২০১৩ সেশনের প্রতিযোগিতায় তিনটি পর্বে চ্যাম্পিয়ন হন স্বরলিপি! ‘সা-রে-গা-মা-পা খ্যাত এপার বাংলা -ওপার বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী তানজিনা করিম স্বরলিপি। অসংখ্য প্লেব্যাক ও বিভিন্ন ঘরানার গানে তার কন্ঠের যাদু, দরদী সুর ও ছন্দ যেন শ্রোতাতে হৃদয় কেড়ে নেয়।
“সুখের পরশে যেন, হারিয়ে গিয়েছি,
মনের দামেতে মন, কিনেতো নিয়েছি,
সারাটা জীবন যদি, পাশে না পাও,
তবে কেন এভাবে, মায়াতে জড়াও।”
স্বরলিপি বলেন, সোহাগ রেজা’র লেখা চমৎকার কথামালায় কন্ঠ দিয়ে বহুদিন পর তৃপ্তিদায়ক কিছু অনুভূত হলো, হৃদয়ে যেন প্রশান্তির ছোঁয়া লেগে গেল।
গীতিকার সোহাগ রেজা তার লেখা গান নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন,`ইতোপূর্বে দেশের ‘বাংলা সংগীতের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী আগুন, সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা এবং তরুণ প্রজন্মের রন্টি দাশ, রাজা বশীর, হুমায়রা বশীর, আফসানা রুনা, বাবু সরকার, প্রণব চক্রবর্তী পার্থ, স্বীকৃতি, ক্লোজ-আপ খ্যাত শিল্পী নিশীতা বড়ুয়া সহ অন্যান্য জনপ্রিয় শিল্পীরা আমার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের ব্যাপার, সে সাথে প্রিয় শ্রোতাবৃন্দ ও শুভাকাঙ্খীদের জন্যও অন্যরকম ভালোলাগার বিষয়।, কোন গান যদি শ্রোতাদের মনে কিছুটা হলেও দোলা দিয়ে যায় তবেই সকল প্রচেষ্টা সার্থক হয়।’
সোহাগের লেখা গান বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হলেও বেশির ভাগ গানই বেতার থেকে প্রচারিত হয়। এছাড়া গানগুলো বাংলাদেশ বেতার এ্যাপে, বিভিন্ন এফ.এম রেডিয়োতে প্রচারিত হয় বিধায় দেশ-বিদেশের বাংলা ভাষাভাষী বিভিন্ন শ্রেণির শ্রোতারা তা খুব সহজে উপভোগ করতে পারেন।
গানটির দর্শক প্রিয়তার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে গীতিকার মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ বলেন, “অনেক ভেবে-চিন্তে নিজের গভীর অনুভূতিকে সহজ-সরল শব্দে কথাগুলো প্রকাশ করার আন্তরিক চেষ্টা করা হয়েছে, যা গায়কী, সুর ও ছন্দের মিশ্রণে গানটিকে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। যারা সুরেলা গান পছন্দ করেন তাদের মন ছুঁয়ে যাবে এমনকি বিভিন্ন শ্রেণির শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিবে বলে আমার বিশ্বাস।”
বাংলাদেশ বেতার ঢাকায় সম্প্রতি এই চমৎকার গানটি রেকর্ড করা হয়। গানটির মাস্টারিংয়ের কাজটি শেষ হলেই শ্রোতাদের জন্য দ্রুত প্রচার করা হবে বলে জানা যায়।
ভীষণ রোমান্টিক ধাঁচের এই গানটিতে সুরারোপ করেছেন উজ্জ্বল সিনহা, তত্ববধানে ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের (ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের) উপ-পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার, সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন মো. আনোয়ার হোসেন মৃধা।
গীতিকার মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ ১৯৮১ ইং সালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বেলায়েত হোসেন, মাতা কোহিনুর বেগম। চার ভাই-বোনের মধ্যে সোহাগ মেঝ। বর্তমানে তিনি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশা-পাশি অবসর সময়ে বাংলাদেশ বেতার ঢাকায় ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনা করে থাকেন। এছাড়াও তিনি ফরিদপুরের সালথা মডেল প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্বে আছেন।