ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত
৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ইতোমধ্যেই টিকার আওতায় আনা হয়েছে। টিকা
প্রাপ্তির ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও টিকা দেয়া হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ নার্সিং
ও মিডওয়াইফারি কম্প্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং প্রি-রেজিষ্ট্রেশন) পরীক্ষা ২০২১ পরিদর্শন
শেষে একথা বলেন। এসময় স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর উপস্থিত ছিলেন।
দেশে নার্সের সংখ্যা তুলনামূলক কম জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকা দরকার।
এক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। সরকারি ও বেসরকারি মিলে দেশে প্রায় ৭০ হাজার
নার্স আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এটি বাড়িয়ে চিকিৎসকের সমান করা
হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মোতাবেক চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানো
হবে।
চীন থেকে ছয় কোটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সাড়ে ১০ কোটি টিকা ক্রয়ের
উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২২ এর জানুয়ারি নাগাদ ক্রয়কৃত সাড়ে
১৬ কোটি টিকা পেলে আগামী বছরের শুরুতে দেশের অধিকাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব
হবে।
গণটিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, টিকা
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যাদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, তারা দ্বিতীয় ডোজও সময়মতো
পাবেন। প্রথম ডোজ যে কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে, সেই কেন্দ্রেই দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
গ্রামের মানুষের মধ্যে আগে টিকা নেয়ার আগ্রহ কম ছিল। এখন তাদের মাঝেও টিকার
গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।