ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) :

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যেকোনো
ভবনের নকশা এবং স্থাপত্য বিষয়ে অনুমোদন দিবে রাজউক। আর এসব স্থাপনা যথাস্থানে হচ্ছে কি
না অথবা রাজউক থেকে অনুমোদিত বিষয়গুলো যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবে
সিটি কর্পোরেশন।

আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে ডেঙ্গু এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি
কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য
২০২২ সালের প্রথম আন্তঃমন্ত্রণায়ের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব
কথা জানান।

মন্ত্রী জানান, ভবন বা অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে রাজউক থেকে অনুমোদন নেওয়ার পর
বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করতে হবে। ভবন নির্মাণে যে স্থান নির্ধারণ করা আছে সেটি
সরকারি জায়গা বা উপযুক্ত কি না, রাজউক থেকে যে নকশা বা ডিজাইন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা
সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না এসব বিষয় দেখভাল করবেন সিটি কর্পোরেশন। তিনি বলেন, ১৪
তলা ভবনের অনুমতি নিয়ে ২০ তলা নির্মাণ করা হয়। আবার তিন হাজার স্কয়ার ফিটের অনুমতি নিয়ে
ছয় হাজার স্কয়ার ফিট বানানো হয়। এসব বিষয় সিটি কর্পোরেশন নজরদারি করবে। পরিকল্পিত
নগরী গড়তে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।

সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের বছিলায় খাল দখল প্রসঙ্গে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সেখানে খাল
দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন যদি জানতো তাহলে অবশ্যই এসব
নির্মিত হতো না। আর হলেও তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যেত। অনেকেই অভিযোগ করে
বলেন, অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠেছে। যদি পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য নগর গড়তে হয় তাহলে
এর বিকল্প নেই।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন এবং
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সকল নাগরিককে ভূমিকা পালন করতে হবে। রেলওয়ে, সিভিল
এভিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে কাজ করতে নির্দেশ দিয়ে
মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করলে সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
মন্ত্রী বলেন, এডিসসহ অন্যান্য মশা প্রজনন বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য
ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো শুরু করতে হবে। মশার কোনো বর্ডার নেই। উত্তর সিটি

কর্পোরেশনে মশা থাকলে দক্ষিণে হবে না অথবা এক বাসায় হলে অন্য বাসায় হবে না এমনটি না। মশা
নিধন করতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। মশামুক্ত নগরী
গড়তে আমরা সবাই বদ্ধপরিকর। ছাদ বাগানে মশার প্রজনন যাতে না হয় এ বিষয়ে সচেতন থাকতে
হবে।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি
কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ
রেজাউল করিম চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, গাজীপুর সিটি
কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ আসাদুর রহমান কিরন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র
সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা
আজিজ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানসহ
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।