নিউইয়র্ক, ২০ মে :
সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আটকে পড়া অভিবাসীসহ সকল অভিবাসীদের অভিবাসন যাত্রার সময়
জীবন বাঁচাতে এবং ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।
গতকাল জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা ফোরামের
(আইএমআরএফ) সাধারণ বিতর্ক পর্বে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার আলম। কোনও পরিস্থিতিতে যাতে অভিবাসীদের জোর করে ফেরত পাঠানো না হয় সেবিষয়ে
ট্রানজিট এবং গন্তব্যের দেশগুলির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জলবায়ুজনিত অভিবাসনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন,
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীভাঙন বা খরার কারণে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দশাকে
অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন- এই উভয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে।
তিনি সমুদ্রে দুর্দশায় পতিত অভিবাসীদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির
যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা পূরণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সাধারণ বিতর্কে তিনি বলেন,
‘আমাদের নৌবাহিনী আমাদের সমুদ্র উপকূল থেকে মিয়ানমার কর্তৃক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত
রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেছে’।
সাধারণ বিতর্ক পর্বটির সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
প্রতিমন্ত্রী মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামে বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের
নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ডোমিনিকার পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা,
টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রী ডঃ ভিন্স হেন্ডারসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের
স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার মিসেস ইলভা জোহানসন এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠকসমূহে প্রতিমন্ত্রী ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের
প্রার্থীতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
একটি অগ্রগতি ঘোষণা গ্রহণের মাধ্যমে ফোরামটি ২০ মে ২০২২ শেষ হবে।