নিউইয়র্ক, ১৯ মে :
অভিবাসীদের মানবাধিকার ও সুরক্ষার ঘাটতি মেটাতে বিশ্বব্যাপী সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান
জানালো বাংলাদেশ। গতকাল জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা
ফোরামের (আইএমআরএফ) গোলটেবিল বৈঠকে প্রদত্ত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বৈশ্বিক অভিবাসন কমপ্যাক্ট এর পাঁচটি বিষয় যথাক্রমে: উপাত্ত,
তথ্যের বিধান, নাজুকতা হ্রাস, বৈষম্য দূরীকরণ, ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর দৃষ্টিপাত
করা হয় বৈঠকটিতে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংকট পরিস্থিতিতে আটকেপড়া অভিবাসীদের অভিবাসন যাত্রার ঝুঁকি ও
নাজুকতা হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার, মানবাধিকার সংস্থা, কনস্যুলেট ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলির
মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। স্বাগতিক দেশ ও মাতৃভূমির
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভিবাসীদের ভূমিকার কথা তিনি তুলে ধরেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক অভিবাসন
কম্প্যাক্ট ও এজেন্ডা ২০৩০ এর সমন্বয়মূলক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এক্ষেত্রে তিনি অভিবাসনের সাথে যুক্ত সকল অংশীজন ও জাতিসংঘের অভিবাসন নেটওয়ার্ক এর
প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আইএমআরএফ -এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যগণের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহাইল এবং
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
আইএমআরএফ এর ‘অগ্রগতি ঘোষণা’ কো-ফ্যাসিলেটেড করার জন্য জাতিসংঘে বাংলাদেশের
স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও লুক্সেমবার্গ এর স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত অলিভার
মেইজ-কে মনোনয়ন প্রদান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ শাহিদ।
এছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এর
মহাপরিচালকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে
অভিবাসনের বিভিন্ন দিক ও সম্ভাব্য সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়।