ঢাকা, ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার
করার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন,
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি বিনির্মাণে সংবিধানে
চার মূল নীতি দিয়ে গেছেন। জাতি বিনির্মাণের জন্য এই চার নীতি প্রধানতম দিকনির্দশনা
বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে
আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির চ্যালেঞ্জ: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক
আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট
রানা দাশ গুপ্ত,বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামি জোটের সভাপতি হাফেজ মওলানা জিয়াউল
হাসান, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, চট্টগ্রামের শঙ্কর মঠ ও মিশন সীতাকুণ্ডের
অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ, সুপ্রিম সংঘ কাউন্সিল অভ্ বাংলাদেশের সাবেক
সাধারণ সম্পাদক ভদন্ত এস লোকজিৎ থেরো, বিশ্ব ধর্ম সংস্কৃতি বিভাগ এবং ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফাদার ড. তপন ডি রোজারিও বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পরাজিত শক্তির এদেশীয় দোসররা
সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করে। একাত্তরের
পরাজিত শত্রুদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া হয়। একুশ বছরের জঞ্জাল অপসারণ
করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেনতার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেন।
তার প্রায় ১৭ বছরের শাসনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে বিশ্বে
অনুকরণীয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পাশাপাশি উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে
উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, ’৭২ এর সংবিধান বক্ষে ধারণ করেছি।
রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক এই দুইয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অসাম্প্রদায়িক চেতনার
বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়াই আমাদের
প্রত্যাশা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ
সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সারা দেশে প্রতিটি থানায় ডিজিটাল অপরাধ দমনে
বিশেষায়িত জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।