ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের
ব্যবস্থাপনায় ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত “দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” এর স্মৃতিচারণ ও এই মহান
কর্মের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে
নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক মেডিসন স্কয়ারে গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত হলো গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ
কনসার্ট। নিউইয়র্কে জমকালো আয়োজন আর গৌরবের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমৃদ্ধ
বর্তমানকে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক
মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা
সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শামীম
ওসমান, অপরাজিতা হক ও নুরুল আমিন শিল্পী কাদেরি কিবরিয়ার সঙ্গে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ
মেলান।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন অর্জন ও পাকিস্তানি
হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার কারণে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় ১
কোটি শরণার্থীদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত সেতার শিল্পী পন্ডিত
রবিশঙ্কর এবং তার বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে ১ আগস্ট ১৯৭১ নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন
স্কোয়ার গার্ডেনে প্রায় ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত
হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেই মহাআয়োজন ইতিহাসের পাতায় দ্য কনসার্ট ফর
বাংলাদেশ নামেই উজ্জ্বল হয়ে আছে। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক পণ্ডিত
রবিশঙ্করের অনুরোধে তখন সেই কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছিলেন দ্য বিটলস ব্যান্ডখ্যাত ব্রিটিশ
সংগীত তারকা জর্জ হ্যারিসন। সেই ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই এবার আয়োজন করা হলো এ
আয়োজন।
এরপর স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
জানান, কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থে দরিদ্র ও অনুন্নত দেশগুলোর শিশুদের সাইবার নিরাপত্তায়
ব্যয় হবে। আর ইউএনডিপির সঙ্গে মিলে কাজটি করা হবে বলে জানান তিনি।
ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজিত গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্টে বিশ্ব
দেখলো স্বাধীনতার অর্ধ শতক পর বাংলাদেশ এখন কোথায় দাঁড়িয়ে। উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে
যাওয়া বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয় দেশ-বিদেশের দর্শকদের সামনে। আয়োজিত এই
কনসার্টে অংশ নেয় জার্মানির বিশ্ববিখ্যাত রক ব্যান্ডদল স্করপিয়ন্স আর বাংলাদেশের চিরকুট।
কনসার্ট উপলক্ষ্যে ২০ হাজার আসনবিশিষ্ট মিলনায়তনের অধিকাংশই পরিপূর্ণ ছিল।
উচ্ছ্বাসে মেতে উঠা দর্শক সারিতে বেশিরভাগ ছিলেন আমেরিকান।