নরসিংদীর শিবপুরে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে থানাহাজতে দীর্ঘ সময় কথা বলতে না দেওয়ায় একজন কনস্টেবলের গালে থাপ্পর মেরেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন নেতা। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিবপুর থানা কমপ্লেক্সে হাজত খানার সামনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জয়নগর ইউপির চেয়ারম্যান নাদিম সরকারকে ছাড়িয়ে আনার তদবির করতে থানায় গিয়েছিলেন আবিদ হাসান ওরফে জজ মিয়া। শিবপুরের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মাছিমপুর ইউনিয়নের পুবেরগাঁও এলাকার মজিদ মিয়ার ছেলে তিনি। ঘটনার পরপরই তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আওয়ামী লীগের নেতা ও একাধিক মামলার আসামি জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম সরকারকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে গ্রেপ্তার করে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাত ১০টায় তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার তদবির করতে দলবল নিয়ে থানায় যান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবিদ হাসান ওরফে জজ মিয়া। হাজতের সামনে দাঁড়িয়ে গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম সরকারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখন ‘দীর্ঘসময় এভাবে কথা বলার সুযোগ নেই’ জানিয়ে কর্তব্যরত কনস্টেবল মো. সবুজ মিয়া তাকে চলে যেতে বলেন। এ সময় আবিদ হাসান ওরফে জজ মিয়া উত্তেজিত হয়ে মো. সবুজ মিয়ার গালে থাপ্পর বসিয়ে দেন।
এ ঘটনায় উপস্থিত অন্য কনস্টেবলরা আবিদ হাসান ওরফে জজ মিয়াকে ঘিরে ধরে কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘এই থানায় চাকরি করতে হলে তাকে চিনতে হবে। তার কথা শুনতে হবে। তা না হলে এখানে চাকরি করা যাবে না।’ তৎক্ষণাৎ বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনকে জানানো হলে তাকে আটকের নির্দেশ দেন।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, থানায় এসে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবিদ হাসান ওরফে জজ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কনস্টেবল মো. সবুজ মিয়া। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, মামলা রুজু হওয়ার পরই তাকে আদালতে পাঠানো হবে।