ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের
উত্তরাধিকার ভোজনরসিক বাঙালির অনন্য এক ঐতিহ্য বাহারী পিঠা। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির
ধারক ও বাহক। আদিকাল থেকেই অঞ্চল ও ঋতু ভেদে নানারকম পিঠা তৈরি হয়ে আসছে। জাতীয়
পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদ ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ
উৎসব আয়োজন করে আসছে। এয়োদশ জাতীয় পিঠা উৎসব থেকে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে
এ উৎসব আয়োজন শুরু হয়েছে। আগামীতে প্রতি জেলায় পিঠা উৎসব আয়োজন করা হবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উৎসবের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা
একাডেমির যৌথ আয়োজনে দশ দিনব্যাপী (৫-১৪ জানুয়ারি, ২০২২ খ্রি.) জাতীয় পিঠা উৎসব
১৪২৮ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শৈশব থেকেই আমরা গ্রামবাংলার হরেক রকম সুস্বাদু পিঠাপুলি খেয়ে
বড় হয়েছি যা থেকে নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে শহরের বাসিন্দারা অনেকখানি বঞ্চিত। সেজন্য
সারাদেশে এ উৎসব ছড়িয়ে দেয়া একান্ত প্রয়োজন। তাহলে তরুণ প্রজন্ম ক্ষতিকর ফাস্টফুড
সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আমাদের আদি ঐতিহ্য পিঠাপুলিতে অভ্যস্ত হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন মঞ্চসারথি
আতাউর রহমান, একুশে ও শিল্পকলা পদকপ্রাপ্ত নৃত্যগুরু আমানুল হক, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার
ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নাট্যজন কামাল বায়েজিদ ও সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক
(বিক্রয় ও বিপণন) জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ
সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা করেন পঞ্চদশ জাতীয় পিঠা
উৎসব উদযাপন পরিষদ-১৪২৮ এর যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোঃ
আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।