ঢাকা, ১০ অগ্রহায়ণ (২৫ নভেম্বর):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে
পৃথিবীতে প্রচলিত প্রচার মাধ্যম হিসেবে পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশন সাংবাদিকতায়
অভাবনীয় পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফেইসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কনটেন্টসমূহ প্রকাশ করার সূযোগ
সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল যুগের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগামীদিনের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
আয়োজিত ‘মিডিয়া কনভার্জেন্স’ শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ
আহ্বান জানান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাইজেশন পুরো সভ্যতা থেকে কাগজের এনালগ
অস্তিত্ব বিদায় নেবে। স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার জানতেই
হবে। এ জন্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। বেঁচে থাকার জন্য ডিজিটার যন্ত্র
ব্যবহার জানতেই হবে। পাঠ্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান লাভের পাশাপাশি প্রকাশ দক্ষতা
গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
ডিজিটাল যুগে বসবাস করার জন্য বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে
মোস্তাফা জব্বার বলেন. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ডিজিটাল
বাংলাদেশ আজ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। এরই ধারাবাহিকতায় অতীতের তিনটি
শিল্পবিপ্লব মিস করায় শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের
নেতৃত্বের জায়গায় বাংলাদেশ উপনীত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সেমিনারে সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল
ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা ও দৈনিক আজকের
পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও
সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও
সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী এম আনিছুল ইসলাম এবং গ্রিন
ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. শেখ
মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম সেমিনারে বক্তৃতা করেন।