ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন সমুদ্র ও স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়া হবে। আগামী ১৪ জুলাই থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়ে কাজ করতে পারবে। করোনা টিকার কোন সংকট হবে না। জরুরি সেবার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরি চলাচল অব্যাহত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, সমুদ্র ও স্থলবন্দরে প্রথম পর্যায়ে ১২ হাজার টিকা দেয়া হবে। টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে, বন্ধ হবে না। সমুদ্র ও স্থলবন্দরে অনেক দক্ষ লোক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। করোনায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বন্দরের কাজকর্ম অচল হয়ে যাবে। সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদেরকে টিকা দিবে। তারা ঝুঁকিমুক্তভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়ে কাজ করবে। প্রথম দিকে টিকার সংকট ছিল। অনেক দেশ টিকা পাচ্ছিল না। বিশ্বের ৩০টি দেশের তালিকায় প্রথম থেকে বাংলাদেশ টিকা পেয়েছে। ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিয়ে সমালোচনা সঠিক নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মার্চ থেকে সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলো ঝুঁকি নিয়ে সচল রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ সাপ্লাই চেইন সচল রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে করোনায় ১৫ জন মারা গেছে। সেখানে করোনার জন্য ৫০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে। মোংলা বন্দরে কাজ চলছে। সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলোতে প্রথমধাপে করোনার টিকা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ হয়নি, সচল ছিল এবং বর্তমানেও চালু আছে। তবে, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সকল ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও এ্যম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা আসবে।