১৪ আষাঢ় (২৮জুন) :

স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট নেতৃত্বে ফেরার সিরিজ যেন এখন স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারলেই বাঁচেন সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে যে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। তারপরও টাইগাররা নখদন্তহীন লড়াই হারে ৭ উইকেটে।

সেন্ট লুসিয়া টেস্টে তো আরও ভয়াবহ অবস্থা। চতুর্থদিনেই ১০ উইকেটের জয় তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। বৃষ্টি এসেও বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা দ্বিতীয় ইনিংসেও। তারপরও কোথায় যেন একটু আশার বাতি দেখতে পাচ্ছিলেন সাকিবরা।

দিনের শুরু থেকে বৃষ্টি। দুই সেশন কাটল ড্রেসিংরুমে বসে। খেলা শুরু হলো বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। দিন পার করতে হলে ৩৮ ওভার টিকে থাকতে হতো। নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি হাসান মিরাজের ওপর আশায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু উইন্ডিজ বোলাররা কোনো সুযোগ দেয়নি। সোহানের অপরাজিত ৬০ রান কেবল ইনিংস হার থেকে বাঁচিয়েছে টাইগারদের। ১৩ রানের লক্ষ্য পার হতে উইন্ডিজের লেগেছে ১৭ বল।

খেলা শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বাংলাদেশ যখন হার নিয়ে মাঠ ছাড়ছে তখন দেশের প্রায় মানুষ ঘুমে। এমন হার তো এখন নিত্যসঙ্গী। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় ছাড়া টেস্টে পুরোপুরে যেন ‘কাগজের বাঘ’ টাইগারদের। বিশেষ করে ব্যাটারদের দায় নিতেই হবে।

ব্যর্থতার কারণে নেতৃত্ব ছেড়েছেন মুমিনুল হক। তার জায়গায় এলেন সাকিব। কিন্তু পরিবর্তন আসেনি। তবে উইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাজেভাবে হারলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিকল্পনা সাজাতে চান। ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে বসে পরিকল্পনা করতে চান টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে।

সাকিব মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ বিশালভাবে খেলা সচেতনতার অভাব। শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে না পারার মানসিকতা। সেখানেই জোর দিতে চান ৩৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার, ‘আমরা যদি টেস্টকে বিবেচনায় নিই তবে খেলা সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা উইকেট হারিয়েছি ড্রিংকস বিরতি ও মধ্যাহ্নভোজের আগে। অথবা বৃষ্টি আসার ঠিক একটু আগে। এটি না হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। এসব বিষয় খেলা সচেতনতার বিষয়, যা আমি এই দুই টেস্ট ম্যাচে অনুভব করেছি। আমরা নিজেদের যতটুকু সক্ষমতা দেখাতে সক্ষম তা দেখাতে পারিনি এবং আমরা শক্ত ছিলাম না।’

আগামী টেস্ট সিরিজের পাঁচ মাস আগে থেকে সবার সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করার ইচ্ছে সাকিবের। আর সময়টা এখনই। ডিসেম্বরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। তার জন্য পরিকল্পনা সাজাতে চান টাইগার অধিনায়ক, ‘যদি আমরা টেস্ট জিততে চাই তবে আমাদের কেবল ব্যাটিংয়ে নয়, প্রতিটি বিভাগে উন্নতি করতে হবে। দীর্ঘ শূন্যতাগুলো গোছাতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের উন্নতি করতে হবে।’

সূত্র : বাঙলা প্রতিদিন।