মাগুরায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ (৪৭)। শনিবার (১৫ মার্চ) তাঁকে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাগুরা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগরসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ১৬৪ ধারায় হিটু শেখের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
তিনি একাই জড়িত বলে জানিয়েছেন। বাকি তিন আসামি এখনো রিমান্ডে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় ৫ মার্চ বুধবার রাতে আট বছরের আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। সে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর এলাকায় বাড়ির কাছের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ঘটনার পর তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সে মারা যায়।
এদিকে মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনে মারা যাওয়া আছিয়ার পরিবারকে আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
শনিবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনে মারা যাওয়া শিশুটির বিষয়ে সব ধরনের আইনি সহায়তা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। এ ছাড়া তার পরিবার ও বড় বোনের মানসিক স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য পুনর্বাসনের দায়িত্ব সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন শারমিন এস মুরশিদ। তিনি এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।