ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১১ নভেম্বর ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ,
পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব-২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ’ বৈচিত্র্যময় নানা আয়োজন ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে
‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব ২০২১’ উদযাপন করছে জেনে আমি
আনন্দিত।
‘মাছে ভাতে বাঙালি’ বাঙালির শাশ্বত এই পরিচয়েই নিহিত রয়েছে আমাদের জাতীয়
জীবনে মাছের গুরু্ত্ব। আর জাতীয় মাছ ইলিশ আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। বাংলাদেশের বিশাল
সমুদ্রসীমা, উপকূলীয় এলাকা ও মোহনা ইলিশের অবাধ বিচরণক্ষেত্র। সরকার মৎস্য খাতের
বিশেষ করে ইলিশের বিপুল সম্ভাবনা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে এর উন্নয়নে বহুমুখী কর্মসূচি
গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির সুফল হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইলিশের উৎপাদন
বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গৃহস্থের রান্নাঘরের গণ্ডি পেরিয়ে ইলিশ এখন ব্র্যান্ড হিসেবে
বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরছে।
খাদ্য ও রন্ধনশিল্প পর্যটনশিল্পের একটি গুরু্ত্বপূর্ণ উপাদান। অত্যন্ত সুস্বাদু ও
পুষ্টিগুণসম্পন্ন ইলিশ বাঙালির সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অংশ। পাশাপাশি বাংলাদেশ ভূ-প্রাকৃতিক
বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ একটি দেশ। স্থানীয় কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সাথে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যোগসূত্র স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে দেশের পর্যটনশিল্পকে
কার্যকরভাবে তুলে ধরা সম্ভব বলে আমি মনে করি। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ইলিশ, পযটন
ও উন্নয়ন উৎসবের মতো বৈচিত্র্যময় আয়োজন নি:সন্দেহে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আমি
দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট
সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল
কার্যক্রম সফল হোক- এই কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”