ঢাকা, ১১ মাঘ (২৫ জানুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-
২০২২’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ কাস্টমস এর
সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা এবং শুল্ককর প্রদানকারী সকল অংশীজনদের
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ কাস্টমস অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এসকল কার্যক্রম
পরিচালনা করছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে সহজ, স্বচ্ছ ও গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ
কাস্টমস এর কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যবসায়ী
সম্প্রদায়ের নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের
কোনো বিকল্প নেই। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Scaling
up Customs Transformations by Embracing a Data Culture and Building a Data Ecosystem’ সময়োপযোগী
হয়েছে বলে আমি মনে করি।
নিরাপদ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিশ্চিত এবং বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা শুল্ক
বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব। এজন্য কাস্টমস প্রশাসনের অবকাঠামোসহ সার্বিক প্রাতিষ্ঠানিক
দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের বিকল্প নেই। এ বিবেচনায় বর্তমান সরকার কাস্টমস বিভাগের
আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। কাস্টমস ব্যবস্থাপনার অটোমেশন, করদাতাদের দ্রুত
সেবা প্রদান, আমদানি-রপ্তানি সরলীকরণ, কন্টেইনার/কার্গো স্ক্যানিং, বাণিজ্য ও ট্যারিফ
উদারীকরণসহ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ), ডাটা এনালাইসিস এবং আধুনিক ঝুঁকি
ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চোরাচালান এবং জালজালিয়াতি প্রতিরোধে বাংলাদেশ কাস্টমস বিভিন্ন
কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক কাস্টমস ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি
পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে এবং তেমনি আমদানি-রপ্তানি
বাণিজ্যে অসাধু তৎপরতাও হ্রাস পাবে বলে আমি মনে করি। আমি আশা করি, বাংলাদেশ কাস্টমস
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারকল্পে ডিজিটাল পদ্ধতিসহ আন্তর্জাতিক রীতিনীতি
দ্রুত বাস্তবায়নপূর্বক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আরো তৎপর হবে এবং
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্বাররক্ষী হিসেবে পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে
গতিসঞ্চার করতে সক্ষম হবে।
আমি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য
কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”