চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৭ রানের বিশাল জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৩৬ উইকেট সাকিব আল হাসানের। আজ চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই রেকর্ড করলেন তিনি।
এর আগে ১০৭ ম্যাচের ১০৫ ইনিংসে ১৩৪ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ শিকারীর রেকর্ড দখলে রেখেছিলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে আয়ারল্যান্ড। এতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। ২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করেছে আইরিশরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন কার্টিস ক্যাম্পার।
বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড। এরপরই নামে বৃষ্টি। মাঝে একবার বৃষ্টি বন্ধ হলে ১৯ ওভারের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। পরে খেলতে নামার আগেই ফের বৃষ্টি নামায় খেলা ১৭ ওভার নির্ধারণ করা হয়। বৃষ্টির বাধায় ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে টাইগাররা।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান পেয়েছেন পাঁচ উইকেট। তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন তিনটি উইকেটে। আর হাসান মাহমুদ পেয়েছেন একটি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন রনি তালুকদার ও লিটন দাস। একপর্যায়ে ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান লিটন। ভেঙে দেন ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুলের গড়া ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। পরে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ বলে ৮৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
লিটনের উদ্বোধনী সঙ্গী রনি তালুকদারও ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। এই ব্যাটার ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৪ রান করে আউট হন।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটারের পর দলকে টানেন তাওহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। খেলা শেষ হওয়ার এক বল আগেই অবশ্য তাওহিদ ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।