ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস-
২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত
‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ও মানুষের অপরিকল্পিত ভূমি
ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, খরা, ঝড়-ঝঞ্চাট, অন্যদিকে বৃক্ষনিধনের
মাধ্যমে বন উজাড়; দুইয়ের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।
এছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পার্বত্য জেলাসমূহ ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য অত্যন্ত
আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল। পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে পাহাড়ের সৌন্দর্য
উপভোগ করতে পারে সেজন্য এ অঞ্চলে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, যা এ
অঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার
বিষয়টি বিবেচনায় রাখা আবশ্যক। এবারের আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের প্রতিপাদ্য
‘Sustainable Mountain Tourism’ এ প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
ও পার্বত্য অধিবাসীদের বর্ণিল কৃষ্টি-ঐতিহ্য কেবল বাঙালিদের নয়, বিশ্ববাসীকেও
প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। প্রকৃতির সাথে বসবাস করে পার্বত্য এলাকার জনগণ যেমন
জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করছে তেমনি তারা পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবন ও
সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং পার্বত্য অঞ্চলের
মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনের মৌলিক উপাদানসমূহ নিশ্চিত হবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা।
আমি ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা
কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”