ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ ( ২ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর ‘৩০তম আন্তর্জাতিক
প্রতিবন্ধী দিবস’ ও ‘২৩তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান
করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘৩০তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস’
ও ‘২৩তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটি
উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাঁদের পরিবার এবং তাঁদের কল্যাণে
নিবেদিত সংস্থা সংগঠনসমূহকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য Leadership and participation of
persons with disabilities toward an inclusive, accessible and sustainable post-COVID-19 World’
অর্থাৎ কোভিডোত্তর বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ’
অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা মানব বৈচিত্র্যেরই অংশ।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তাঁদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায়
সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। সমাজের অবিচ্ছেদ্য এ অংশকে সকল নাগরিক সুযোগসুবিধা দিয়ে
যথাযথ প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
আমাদের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব দেশের সকল জনগণের অধিকার সুরক্ষা, সুষম
উন্নয়ন ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের
কল্যাণে সরকার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, অটিজম রিসোর্স সেন্টার, অটিস্টিক ও
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল, প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ,
কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও সুযোগসুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক
কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে
সমাজের সর্বস্তরের জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে
সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিবন্ধীদের সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশ
বেড়ে উঠার সুযোগ করে দিতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে – এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘৩০তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস’ ও ‘২৩তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’
উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”