ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস
উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২১' পালনের
উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য 'Digital
Equity for All Ages' অর্থাৎ, ‘ডিজিটাল সমতা সকল বয়সের প্রাপ্যতা’ যথার্থ হয়েছে বলে
আমি মনে করি।
বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতিতে সমগ্র বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু
বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর সব দেশেই প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
প্রবীণ ব্যক্তিরা সমাজের শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁদের শ্রম ও মেধায় সভ্যতার
অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবীণ নাগরিকদের
সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১৫(ঘ)
অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করেন। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার বয়স্কভাতা
কর্মসূচি প্রবর্তন করে যার আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রায় ৪৯
লক্ষ প্রবীণ নাগরিক ভাতা পেয়েছেন। চলমান অর্থবছরে এর আওতা আরো বাড়ানো হয়েছে।
সরকার ২০১৪ সালে প্রবীণ ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং
জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৫ প্রণয়ন
করেছে। সরকারের গৃহীত এসকল পদক্ষেপ প্রবীণদের কল্যাণে গঠনমূলক ভূমিকা পালন
করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
দেশের বিদ্যমান আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে, প্রবীণ
ব্যক্তিদের একটি বড়ো অংশ অবনতিশীল স্বাস্থ্য, আর্থিক দৈন্যতা এবং সামাজিক
নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বসবাস করছেন। প্রবীণদের অধিকার সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয়
সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে তাঁদের জীবনের অবশিষ্ট সময় সুখ, শান্তি ও মর্যাদার
সাথে অতিবাহিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি। আমি সরকারের পাশাপাশি
বেসরকারি কল্যাণমূলক সংগঠনগুলোকেও প্রবীণদের কল্যাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার
আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল প্রবীণ ব্যক্তির সুস্বাস্থ্য ও শান্তিময়
জীবন কামনা করছি।
‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচি সফল হোক।

জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”