ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস
উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’
পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে দেশের সকল স্তরের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর
সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি। এ বছর ৩১তম প্রবীণ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য 'Digital
Equity for All Ages' অর্থাৎ, ‘ডিজিটাল সমতা সকল বয়সের প্রাপ্যতা’ যথার্থ হয়েছে বলে
আমি মনে করি।
প্রবীণ জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁরা কর্মময়
জীবনে অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দেশ তথা নিজ নিজ পরিবার ও
সমাজ গঠনে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। প্রবীণদের জীবনসায়াহ্নে তাঁদের
যথাযথভাবে দেখাশুনা করা এবং তাঁদের কল্যাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া
রাষ্ট্র, পরিবার তথা সমাজের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে
নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রবীণ ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় প্রবীণ
নীতিমালা ২০১৩ প্রণয়ন, পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইন ২০১৩ প্রণয়ন, ৫৭ লক্ষ ১
হাজার প্রবীণ ব্যক্তিকে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা, ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার জনকে
৫০০ টাকা হারে বিধবা এবং স্বামী নিগৃহীতা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমি প্রবীণদের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য সামাজিক
দূরত্ব বজায় রাখা, ঘরের বাহিরে মাস্ক ব্যবহার করা, নিয়মিত হাত ধোয়া ইত্যাদি বিষয়ের
প্রতি লক্ষ্য রাখার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও
বেসরকারি উদ্যোগ প্রবীণদের কল্যাণে সরকারের উদ্যোগকে আরো বেগবান করবে বলে
আমি বিশ্বাস করি। প্রবীণদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
সকলে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো,
ইনশাল্লাহ।
আমি ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২১'- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী
হোক।”