নিউইয়র্ক, (১৭ নভেম্বর) :
সমুদ্রের বিস্তীর্ণ এলাকার অনাবিষ্কৃত সম্পদের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের
এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবন ও জীবিকায় রুপান্তরধর্মী পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাই
সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশন (আনক্লজ) হতে পারে তাদের জন্য
সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগানোর পথ। আজ স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত স্বল্পোন্নত দেশ ও
ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের জন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমুদ্র-
তলদেশ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের
স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা একথা বলেন ।
স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিশ্বের সবচেয়ে সীমাবদ্ধ সম্পদের অর্থনীতিভুক্ত দেশ বলে
উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি তাদের জন্য গভীর সমুদ্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে
মহাসমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধানের জন্য
সমুদ্রপ্রযুক্তিতে প্রবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ন্যায্য অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে
আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দোহা’তে অনুষ্ঠেয় এলডিসি-৫
কনফারেন্সের প্রস্তুতিমূলক কমিটির যৌথ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। দোহা
সম্মেলনের ‘প্রোগ্রাম অভ্ অ্যাকশ’ -এ সন্নিবেশনের জন্য সমুদ্রের ওপর জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বিষয়ক যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে তার উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত
ফাতিমা বলেন, বিভিন্ন ধরনের দূষণ সামুদ্রিক খাদ্যজাল ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যকে
মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। এ প্রেক্ষাপটে মহাসমুদ্রে দূষণ ও অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপ
মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরো বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
সমুদ্র জগতের নতুন ও উদীয়মান সম্ভাবনাসমূহে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর নারী ও
যুবদের আরো বেশি প্রবেশের সুযোগ প্রদানের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করার আহ্বান জানান
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
উচ্চ পর্যায়ের এই সভায় সঞ্চালক ছিলেন আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ কর্তৃপক্ষের
মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ। এলডিসি’র সভাপতিসহ সদস্য দেশসমূহের উল্লেখযোগ্য
সংখ্যক রাষ্ট্রদূত এতে অংশগ্রহণ করেন।