ঢাকা, ২৮ বৈশাখ (১১ মে) :
আপত্তিকর ছবি ও তথ্য উপাত্তসহ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার উদ্দেশ্যে
ব্যবহৃত পোস্ট অপসারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার-এর সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ফেসবুকের
উচ্চপর্যায়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এসে এ আশ্বাস ব্যক্ত করে।
ফেসবুকের এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিমন
মিলনার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: খলিলুর রহমান এবং বিটিআরসির মহাপরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ফেইসবুক প্রতিনিধিদলের অপর
সদস্যরা হলেন তাদের বাংলাদেশ বিষয়ক পাবলিক পলিসি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা সাবনাম রশীদ
দিয়া এবং রোজাও।
দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা, নৈরাজ্য ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টিতে গুজব
ছড়াতে ফেইসবুককে ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
ব্যবহার করে এ জাতীয় উপাত্ত অপসারণ ও ব্যবহারকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে
প্রতিনিধিদলকে পরামর্শ দেন। তিনি ফেইসবুকের কার্যালয় বাংলাদেশে স্থাপনেরও পরামর্শ দেন।
ফেইসবুকের সাথে বার্সেলোনায় ২০১৮ সালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের অগ্রগতি তুলে ধরে মোস্তাফা
জব্বার বলেন, বিগত দিনগুলোতে ফেসবুকের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের আশানুরূপ অগ্রগতি হয়েছে
এবং তা অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের সংযুক্তি প্রসারিত হয়।
ফেইসবুক পৃথিবীর অনেক জায়গায় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ দিয়ে আসছে। তিনি বাংলাদেশেও
অনুরূপ সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ প্রদানে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ফেইসবুকের
কমিউনিটি মানদন্ডের বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিবেচনার জন্য বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ
বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিকাশমান অগ্রগতি প্রতিনিধিদলকে অবহিত
করে মন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে তের বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত
হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
সাক্ষাতকালে ওটিপি গাইড লাইন ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনায়
উঠে আসে।
প্রতিনিধিদলের নেতা ফেইসবুকের বিদ্যমান ইস্যুগুলোর বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে
বিবেচনার আশ্বাস দেন করেন। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে ব্রডব্র্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ,
দেশের শতকারা ৯৮ ভাগ এলাকায় ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তার, ফাইভজি-চালু ও ফাইভ-জি
স্পেকট্রাম নিলামসহ ডিজিটাল অবকাঠামো বিকাশে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা
করেন।