৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি ‘হস্তক্ষেপের’ নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। একই সঙ্গে পবিত্র এই মসজিদের ‘মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের’ প্রতি হুমকিরও নিন্দা জানান তিনি। রোববার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে তিনি ফোনে এসব কথা জানিয়েছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায় রয়েছে তুরস্ক ও ইসরাইল। এরই মধ্যে ইসরাইলি পদক্ষেপের নিন্দা জানালেন এরদোগান।
গত শুক্রবার আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলের দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন দেড় শতাধিক মুসল্লি। আহত বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি নাগরিক রাবার বুলেট, স্টান গ্রেনেড ও পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন। রোববার এক টুইটবার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানান, তিনি ফোনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন।
টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন- ‘আমাদের আলাপের সময়, আব্বাসকে বলেছি যে, আমি আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি হস্তক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানাই এবং এর মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের ওপর হুমকি ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াব।’
‘তুরস্ক সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে,’ বলে তিনি জানান।
এরদোগান আরও জানান, তিনি আল-আকসা মসজিদের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে তিনি বলেছেন, ইসরাইলি ‘হস্তক্ষেপ এবং উসকানির’ ফল ‘অগ্রহণযোগ্য’। আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে যৌথ উদ্যোগের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা।
আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্ক ও ইসরাইল ২০১৮ সালে পরস্পরের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার করে। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থন রাখে তুরস্ক। তবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি প্রতিশ্রুতি বাদ দেবে না আঙ্কারা।
গত মাসে আঙ্কারা সফর করেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইস্যাক হেরজোগ। এই মাসে এক টেলিফোন আলাপে এরদোগান তাকে বলেন, আঙ্কারা আশা করে রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদের বিষয়ে সংবেদনশীল থাকবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।