২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩:
সত্যি হল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের শঙ্কা। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুই দেশ তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে আঘাত হানে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের কবলে পড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দু’দেশের ঘরবাড়িগুলি। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন বহু মানুষ। তারপর থেকে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেই সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজারের গণ্ডি টপকে গেছে। এরদোয়ান আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজারের বেশি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কবলে সে দেশে এখনও পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯১৪ জনের। তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৯ দিন পেরিয়েছে। প্রবল শৈত্যপ্রবাহ, ঠাণ্ডা এবং তুষারপাতের মধ্যে উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। তবুও তারা হাল ছাড়তে রাজি নন বলেই জানিয়েছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর থেকে শতাধিক বার ‘আফটার শক’-এ কেঁপে উঠেছে তুরস্ক ও সিরিয়া। দুই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। জাতিসংঘের অনুমান, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার বাড়ি। সিরিয়াতেও অন্তত ৫০ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান ত্রাণকর্মীদের। ধ্বংসস্তূপের নীচে যে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তারও কোনও পরিসংখ্যান নেই।
ভূমিকম্পবিধ্বস্ত দু’দেশে এখন শুধুই স্বজনহারাদের কান্নার রোল। হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা চলছে লক্ষাধিক মানুষের। যারা বেঁচে গেছেন, তাদেরও খাবার, পানীয় ও ওষুধ সরবরাহ করতে নাজেহাল আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনগুলো। পর্যাপ্ত খাবার এবং পানি ছাড়াই রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো বহু মানুষ।