ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি
নিরাপত্তা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে সমন্বিত
মাস্টারপ্ল্যান। ২০৫০ সাল পর্যন্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাত উন্নয়নের পরিকল্পনা ও দিক
নির্দেশনা রয়েছে এই মহাপরিকল্পনায়। অংশীজনদের সাথে পরবর্তীতে আলোচনা করে
মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল ‘সমন্বিত জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা’ নিয়ে অংশীজন
সভায় বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীদের জন্য সেশনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, National
Determined Contribution (NDC) ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ৪৮.৯ শতাংশ
গ্রিন হাউস গ্যাস কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ
বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। সরকার কার্বন নিঃসরণ কমানোকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন
কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিদ্যমান মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা করে প্রযুক্তি ও নীতিমালা যুগোপযোগী
করা, জ্বালানি তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম উন্নয়ন করা, প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ চূড়ান্ত
করে অ্যানালাইসিস, চাহিদার পূর্বাভাস, পাওয়ার সিস্টেম পরিকল্পনা গ্রহণ করা, এলএনজি
আমদানি, পরিবেশ ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা সমন্বিত মহাপরিকল্পনায় স্থান
পেয়েছে। এতে চাহিদা পূর্বাভাস বিষয়ে বিভিন্ন মডেল অবতারণা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে
অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতু নাওকি এসময় উপস্থিত ছিলেন।