আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা আজ।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সব নেতাকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সভায় জাতীয় সংসদের ফরিদপুর-২ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয় ৷
আগামী ৫ নভেম্বর আসনটিতে উপ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন ৷
আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহের শেষদিন ছিল শনিবার। এদিন পর্যন্ত ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্রের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া, বিপুল ঘোষ, সাব্বির হোসেন, আব্দুস সোবহান, আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু, মেজর (অব.) এটিএমএ হালিম, শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, মনিরুজ্জামান সরদার, কালাচাঁদ চক্রবর্তী, কাজী দেলোয়ার হোসেন, এবিএম শফিউল আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. ইউসুফ, মো. লায়েকুজ্জামান, সায়েম আমীর ফয়সল সামি ও বাহালুল মজনুন চুন্নু। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নুর পক্ষে দলের মনোনয়নের জন্য আবেদপত্র সংগ্রহ করা হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আবেদনপত্র জমা দেননি বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। সেই থেকে প্রয়াত এই প্রভাবশালী নেতার আসনে কে হবেন নৌকার মাঝি, তা নিয়ে সালথা ও নগরকান্দায় আলোচনা ও কৌতূহলের শেষ নেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সাধারণ মানুষের পোস্টমোর্টেমও অব্যাহত আছে। চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন আড্ডা ও আলোচনায় এ আসনের ভোটারদের কাছে এটিই এখন আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর উত্তরসূরি হিসেবে তার বড় ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু ও ছোট ছেলে শাহদাব আকবর চৗধুরী লাবু দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। প্রয়াত এ নেত্রীর পরিবারের একজন সদস্য যুগান্তরের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘যে যাই কিছু বলুক না কেন শেষ পর্যন্ত তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
অবশ্য দলের একটি সূত্র বলছে, পরিবারের বাইরেও অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।