২৬ ফাল্গুন (১১ মার্চ) :

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ।

এমন পরিস্থিতির মাঝেই রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র উৎপাদনে গবেষণার জন্য অর্থ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কভ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘গোপনে প্রাণঘাতী জীবাণু ছড়িয়ে দেওয়ার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করাই পেন্টাগনের অর্থায়নে ইউক্রেনে জৈব গবেষণার উদ্দেশ্য।’

কোনাশেঙ্কভের দাবি, মার্কিন সামরিক বাহিনীর জীবাণুসংক্রান্ত কার্যক্রমের বিশদ নথিপত্র রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে এসেছে। এ ছাড়া ইউক্রেন থেকে জৈব উপাদান বিদেশে স্থানান্তরের তথ্যও মিলেছে। মুখপাত্র কোনাশেঙ্কভ আরও বলেন, ‘পাখি, বাদুড় ও সরীসৃপের রোগবালাইয়ের পাশাপাশি আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর ও অ্যানথ্রাক্স নিয়েও গবেষণার পরিকল্পনা ছিল ওয়াশিংটনের।’

তিনি বলেন, ‘মার্কিন অর্থায়নে ইউক্রেনে স্থাপিত জৈব গবেষণাগারে বাদুড়ের করোনাভাইরাস নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।’

তবে কিয়েভ ও ওয়াশিংটন উভয়েই ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র উৎপাদনের গবেষণাগারের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত জর্জিয়ার একটি ল্যাবে যুক্তরাষ্ট্র গোপনে জৈব পরীক্ষা চালায় বলে ২০১৮ সালে অভিযোগ করেছিল রাশিয়া। জর্জিয়াও ইউক্রেনের মতো ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইউ) যোগ দিতে চায়।