ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে জানিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার সকালের দিকে একসঙ্গে রাজধানী কিয়েভ, ওডেসা, দিনিপ্রপেত্রভস্ক, খারকিভ এবং লভিভে হামলা চালেয়েছে রুশ বাহিনী। এতে ১৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া তার অস্ত্রাগারে প্রায় সব ধরণের অস্ত্রই ব্যবহার করছে। তারা বাড়ি-ঘর এবং একটি প্রসূতি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলছে, তারা এর আগে রাশিয়াকে একবারে এত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে দেখেনি। গত কয়েক মাসে কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। তবে শুক্রবার রাশিয়ার একযোগে হামলার ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছে ইউক্রেন।
বিমান বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, রাশিয়া এক্স-২২ টাইপসহ হাইপারসনিক, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এগুলো প্রতিহত করা বেশ কঠিন। তিনি বলেন, আমরা এর আগে একসঙ্গে এত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে দেখিনি।
বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ১৫৮টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১১৪টি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া বিমান হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি মেট্রো স্টেশনেও হামলা চালানো হয়েছে।
কিয়েভের দাবি, ইরানের তৈরি ১০টির বেশি শাহেদ ড্রোন এবং ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে আঘাত হেনেছে। তাদের দাবি রাশিয়া এসব হামলায় ইরানি অস্ত্র ব্যবহার করছে।
সামি অঞ্চলের কোনোতপ শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে চারজন নিহত হয়েছে। এছাড়া দুই শিশুসহ আরও ২২ জন আহত হয়েছে। খারকিভের মেয়র ইগোর টেরেখোভ জানিয়েছেন, সেখানে তিনজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১৩ জন।
এদিকে দিনিপ্রপেত্রভস্ক অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে ছয়জন নিহত এবং আরও ২৮ জন আহত হয়েছে। জাপোরিঝঝিয়া শহরে হামলার ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১৩ জন।