ইরানের কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইউক্রেনকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসব অস্ত্র ব্যবহার করছে কিয়েভ। সম্প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত বছর ইরানের কাছ থেকে জব্দ করা ১১ লাখ রাউন্ড বুলেট ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে অভিযান তদারকি করা ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলছে, গত বছরের ডিসেম্বরে ইয়েমেনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি জাহাজ থেকে এসব অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা সম্প্রতি সতর্ক করেছে যে, ইউক্রেন যে হারে গোলাবারুদ ব্যবহার করছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তাদের রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে। সেন্টকম জানিয়েছে, ইরানি অস্ত্রগুলো সোমবার ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো ও ব্রিটেন এর আগে জানিয়েছে, ইউক্রেনকে দেওয়ার মতো গোলাবারুদের মজুত ফুরিয়ে আসছে। গত দেড় বছরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রতিদিন হাজার হাজার গোলাবারুদ খরচ করছে ইউক্রেন। এই গোলাবারুদের বেশিরভাগই সরবরাহ করছে ন্যাটো।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনকে ৩ লাখের বেশি গোলাবারুদ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ দেশটিকে আরও কয়েক হাজার গোলাবারুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আর একই সময়ে ইউক্রেনকে ২০ লাখের বেশি কামানের গোলা দেওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মারওয়ান১ নামের একটি জাহাজ থেকে মার্কিন নৌবাহিনী গত ৯ ডিসেম্বর যুদ্ধাস্ত্র জব্দ করে। এমন সম্পদ যার মালিক অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত তা বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। এমন দাবি করে পরবর্তীতে মার্কিন সরকার গত জুলাই মাসে এসব অস্ত্রের মালিকানা লাভ করে। এসব অস্ত্র ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের বলে অভিযোগ আনা হয়।
ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় ২০১৪ সালে। সে সময় হুথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং দেশটির সরকারকে উৎখাত করে। গত ডিসেম্বরে ইয়েমেনকে সহায়তা দিতে জাহাজে করে ইরান যেসব অস্ত্র সরবরাহ করছিল সেগুলোই জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের।