ইসলামাবাদ, ২৫ জুন :
বাংলাদেশ হাইকমিশন, ইসলামাবাদ যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনায় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা কর্তৃক বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি
পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার ও পোস্টারে সুসজ্জিত
করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিসহ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এরপর পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং এ সকল
কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অতিথিবৃন্দ পরিবারে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
লাইভ স্ট্রিমিং শেষে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম
সিদ্দিকী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদার প্রতীক
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনে আমরা সবাই অত্যন্ত আনন্দিত।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের নিয়োজিত সকল দেশি-বিদেশি
প্রকৌশলী, পরামর্শক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তা তদারকিতে নিয়োজিত
সেনাবাহিনী ও নির্মাণ শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য
অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নের সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেশের জনগণের কাছে বিপুল সমর্থন পেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত এবং জনগণের
শক্তি হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশ সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা
সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দিনে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন পূরণে
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শোষণহীন, বঞ্চনাহীন, সমৃদ্ধ ও জ্ঞাননির্ভর জাতির
পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার সক্ষম হবে।
আলোচনা শেষে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ওপর নির্মিত একটি
ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সকলকে নিয়ে পদ্মা বহুমুখী
সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন। সবশেষে জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত এবং
দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।