ঢাকা, ২ মাঘ (১৬ জানুয়ারি) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের ই-বর্জ্য
এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার গুরুত্বের সাথে কাজ করছে। এলক্ষ্যে ‘ই-বর্জ্য
ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’ এবং ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’ প্রজ্ঞাপন জারি
করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্যে ইতোমধ্যে ১০ বছর
মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের
ব্যবহার বন্ধে ৩ বছর মেয়াদি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ ঢাকায় এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমির বর্তমান
অবস্থা: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা
বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন করা হয় এবং
অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য ভূমিতে অথবা জলাশয়, নদী-নালা ও সমুদ্রে পতিত হয়ে
পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ৪টি নতুন প্রকল্প অচিরেই শুরু হবে।
পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বর্জ্য হ্রাস, পুনঃব্যবহার ও পুনঃচক্রায়ন (থ্রি আর)
স্ট্র্যাটেজি ফর ম্যানেজমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশে উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ ও
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ‘সার্কুলার ইকোনমি বা বৃত্তাকার অর্থনীতি’ বাস্তবায়ন হলে
ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ সম্পদ আহরণের পরিমাণ হ্রাস পাবে, কাঁচামালের টেকসই ব্যবহার
নিশ্চিত হবে, সম্পদের অপচয় কমবে, প্রক্রিয়া চলাকালীন উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস পাবে
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ হ্রাস
করা সম্ভব হবে।

এফবিসিসিআই এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। প্যানেলিস্ট হিসেবে
বক্তব্য রাখেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডক্টর মিজান আর খান,
এনভায়রনমেন্টাল, ন্যাচারাল রিসোর্সেস এন্ড ব্লু ইকোনমি গ্লোবাল প্রাকটিস এর সিনিয়র
এনভায়রনমেন্টাল স্পেশালিস্ট ইউং জু এলিসন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ
বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এবং এফবিসিসিআই এর প্যানেল
এডভাইজার ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডক্টর একে এনামুল হক প্রমুখ।