ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং,
উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল
প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব
হবে না। দক্ষ প্রোগ্রামার তৈরি করতে পারলে দেশে এবং দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের অভাব হবে
না। এই লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষাপ্রদানে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কম্পিউটার বিজ্ঞানশিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ
করেন।
মন্ত্রী শুক্রবার ঢাকার অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত
‘কোভিডকালে চাকুরির সুযোগ এবং আইটি খাতের চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইনসহ
আগামীদিনের প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য ডিজিটাল দক্ষতা তৈরি করা অপরিহার্য।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা ৬শত ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
প্রোগ্রামিংসহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাপ্রদানের একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি। দেশীয়
মোবাইল কারখানা থেকে ৫জি মোবাইল উৎপাদন হচ্ছে এবং বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের শতকরা
সত্তর ভাগ মোবাইলের চাহিদা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল থেকে মেটানো সম্ভব হচ্ছে। দেশে
৬শত ডিজিটাল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির
ধারাবাহিকতায় কোভিডকালে ঘরে বসে অফিস আদালত পরিচালনা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের
শিশুটিও অনলাইনে পড়ালেখা করতে পারছে। হাওর, দ্বীপ ও প্রত্যন্তচরসহ দেশের প্রতিটি
ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার কাজ সমাপ্ত প্রায়
বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান
মোঃ লিয়াকত আলী সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাসিম আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাফিজ মোঃ
হাসান বাবু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ নাসির উদ্দিন এবং স্যামসন আরএন্ডডি
এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আসাদ বক্তৃতা করেন।