বাংলাদেশের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন করে তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করার পর ‘উপদেষ্টা পরিষদ ও নতুন নিয়োগ পাওয়া কয়েকজনকে’ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
কেউ কেউ নতুন নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ কেউ উপদেষ্টা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ‘অঞ্চল প্রীতি’র অভিযোগ তুলেছেন।
‘খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে’- বলে অভিযোগ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। আর উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, রবিবার সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন মাহফুজ আলম, শেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারকী।
মূলত এরপরই আলোচনা উঠে আসে উপদেষ্টা পরিষদ এবং সামাজিক মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা ছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকরাও শেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অবশ্য বলছেন মানুষের প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে কাজের গতি ও দক্ষতা বাড়াতেই নতুন উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
“কতগুলো জায়গায় আমরা মনে করেছি কাজের গতি ও দক্ষতা দুটোই বাড়ানো দরকার। আরও একটু অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া প্রয়োজন। সেজন্যই কারও কাজের চাপ কমাতে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিয়োগ হয়েছে। আরও কোনো মন্ত্রণালয়ে নতুন উপদেষ্টা পেয়েছি,” ঢাকায় সাংবাদিকদের বলছিলেন তিনি।
অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেছেন উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণ হওয়ায় সরকারের কাজের গতি বাড়বে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন অবশ্য বলছেন আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে বলেই উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন জরুরি ছিল। তবে মোস্তফা সরয়ার ও শেখ বশিরউদ্দীনের নিয়োগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করে হয়নি বলেই তারা ‘প্রতিক্রিয়া’ দেখাচ্ছেন ও বিতর্ক তৈরি করেছেন বলে মনে করেন তিনি।