সিডনী, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১: যথাযথ মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার
মধ্য দিয়ে সিডনীতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস
উদ্যাপিত হয়েছে । ১৬ ডিসেম্বর সকালে সিডনীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল
জেনারেল মাসুদুল আলম খন্দকার বাংলাদেশ হাউজ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা
উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-
কর্মচারীগণ ও দূতাবাস পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পতাকা
উত্তোলনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে
শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি
কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙনে এক আলোচনা সভা ও জমজমাট
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় সংগীত দিয়ে দিয়ে শুরু হওয়া
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদদের
স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও মহান
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাণী পাঠ
করে শোনানো হয়। এরপর, এ বছরের মহান বিজয় দিবস এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য
নিয়ে কনসাল জেনারেল এক স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
কনসাল জেনারেল মাসুদুল আলম খন্দকার তার বক্তব্যে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কনসাল
জেনারেল বাংলাদেশের জাতি গঠনে তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ
করেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে
স্মরণ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য প্রবাসী
বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আজ রাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার
অঙ্গীকার পুনর্নবীকরণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান চলাকালীন কনসাল জেনারেল এর নেতৃত্ত্বে উপস্থিত সকলে
সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে সিডনীস্থ কনস্যুলেট
জেনারেল থেকে যোগদান করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে
কনস্যুলেট জেনারেল গত এক বছরে যেসব কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তার ওপর একটি
ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় প্রবাসী শিল্পীদের অনবদ্য পরিবেশনায় এক
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে কনসাল জেনারেল
উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।