ছাত্র আন্দোল এ সবাই এক কাতারে ছিলো, এখন কেও উপদেষ্টা, কেও দলের লিডার, কেউবা অন্য কিছু…. যেকারণে এদের মধ্যেও এখন একতা দিন দিন নষ্ট হচ্ছে, আর একটা কথা সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে ছাত্ররা সামনে ছিলো কিন্তু ব্যাকআপ দিয়েছে সব শ্রেণীর মানুষজন। খাবার দেওয়া, আশ্রয় দেওয়া, অর্থ দেওয়া, গোপনে পরামর্শ দেওয়া, চিকিৎসা দেওয়া, গোপন সংবাদ সরবরাহ করা এরকম শত শত কাজে তাদেরকে সব পেশার মানুষ সহযোগিতা করেছে।

কিন্তু তারা এখন নতুন দল করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একদলীয় দখল কার্যক্রম চালাচ্ছে, অনেক জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয় এ চান্দবাজি করছে এবং এদের মধ্যে টোকাই, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য কিশোর গ্যাং ঢুকে পড়েছে।
একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ভালো কথা, ছাত্ররা যার যার ইনস্টিটিউশন এ চলে যাবে এবং  একটা জাতীয় সরকার গঠন করে খুনী, গুমকারী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারি সবার বিচার করবে, এটা আমাদের সবার দাবি কিন্তু সে প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে না এই সরকার।

ঢালাওভাবে মামলা দিয়ে অপরাধীর বিচার করা যায় কি???

সেনা হেফাজতে যারা ছিলো তাদেরকে কেনো গ্রেপ্তার করতে পারলোনা এখনো??

তাঁদের একটা লিস্ট ও প্রকাশ করতে পারলোনা কেনো??

তাহলে শেখ হাসিনার বিচার করবে কিভাবে???

কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র  সংস্কার হবে কোনো রূপরেখা আজ ও দিতে পারলেন না কেনো???

অন্যদিকে কোনো সংস্কার ই টিকবে না যদি তা জাতীয়ভাবে  সব দলের সম্মতিক্রমে গ্রহণ করা না হয়। কারণ নির্বাচিত সরকার সংসদে একটা অধিবেশনে বসে ই সকল আইন বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।

দিন দিন আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, এইরকম অস্থিরতা চলতে থাকলে দেখবেন সেনাবাহিনী দেশ রক্ষা করতে ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারে।

সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিতে পারলে আরো অনেক কিছু হতে পারে, যেমন: বিশৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার দায়ে এই অন্তরবর্তীকালীন সরকারের কাঁধে ও মামলা আসতে পারে, তখন একজন উপদেষ্টাও ছাড় পাবেনা, সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে ও মামলা হবে।

ইন্ডিয়া থেকে শেখ হাসিনা কে এনে সব রাজনীতিবিদদের নিয়ে একটা যেনো-তেনো নির্বাচন আবার ও হতে পারে – কারণ DGFI, প্রশাসন, পুলিশ, বিচারবিভাগ সব সেটাপ এখনো আগেরমত। অপরাধীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে।

যতদিন সবজায়গায় আগের অপরাধীদের আটক করে বিচার নিশ্চিত করতে না পারবে ততদিন এই সরকার হুমকির মুখে থাকবে।