ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেনঃ
“অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা এর আয়োজন উপলক্ষ্যে বইপ্রেমিক বাঙালি, পাঠক, প্রকাশক, সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি অমর একুশে বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে
অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মীসহ তথা সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে। মেলাটি আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎস। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বইপড়ার বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্মকে বইপড়া ও
সাহিত্য চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে মাসব্যাপী বইমেলা ও ভাষাচর্চার এই আয়োজন কার্যকর অবদান রাখবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা।
বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্বপালন করে আসছে। ভাষা শহিদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে- এ কামনা করি। আমি আশা করি বাঙালির প্রাণের এই মেলা বইকেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবে
সংস্কৃতির অমিয় সুধা। বাংলা একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আমি ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”