ঢাকা, ২ চৈত্র (১৬ র্মাচ) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এ এমিউজমেন্ট
পার্ক এবং থিম পার্ককে পর্যটন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যথাযথভাবে অনুমোদনের পর
জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এপ্রিল মাসে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
আজ বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অভ্ এমিউজমেন্ট পার্ক এন্ড এট্রাকশনস্ (বাপা) এর
প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের
সম্মেলন কক্ষে সাক্ষাৎকালে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমিন ও
যুগ্মসচিব মোঃ আবদুল ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন। বাপা’র সভাপতি শাহরিয়ার কামালের নেতৃত্বে
প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা, ট্রেজারার তুষার বিন ইউসুফ ও
প্রধান কো-অর্ডিনেটর অনুপ কুমার সরকার।
বৈঠকে বাপা’র প্রতিনিধিবৃন্দ জানান, বাংলাদেশে ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০০টি এমিউজমেন্ট
পার্ক ও থিম পার্ক রয়েছে এবং এ সেক্টরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৬ লাখ জনবল
কর্মরত। পর্যটন শিল্পের আওতাভুক্ত সম্ভাব্য প্রোডাক্টের তালিকায় বেসরকারি খাতভুক্ত থিম
পার্ক ও এমিউজমেন্ট পার্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল। করোনা সংক্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যটন
সেক্টর ও এই সেক্টরের আওতাধীন বিভিন্ন সাব-সেক্টর সবচেয়ে বেশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। সরকারিভাবে বিভিন্ন সেক্টরকে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রণোদনা প্যাকেজ
ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটন সেক্টরসমূহ প্রণোদনার সুযোগসুবিধা গ্রহণ
করতে পারেনি। বৈঠকে প্রতিনিধিদল পর্যটন সেক্টর ও এই সেক্টরের আওতাধীন বিভিন্ন
এমিউজমেন্ট পার্ক ও থিম পার্কসমূহ টিকিয়ে রাখা এবং কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী স্ব-অবস্থায় ফিরে
যাবার লক্ষ্যে পর্যটন সেক্টর ও বিভিন্ন সাব সেক্টরকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে জাতীয়
শিল্পনীতি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করার দাবি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে চিন্তা করেছি এবং এর দ্রুত সমাধানের জন্য
কাজ করছি। তিনি পার্কের বিভিন্ন রাইডস্ ও যন্ত্রপাতি যেন নিরাপদ হয় সে বিষয়ে কাজ করার
তাগিদ দেন।