স্পোর্টস ডেস্ক :
এবারই প্রথম নয়। এ নিয়ে ছয়বার পরাজয়ে বিশ্বকাপ শুরু আর্জেন্টিনার। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা হেরে যায় তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের বিপক্ষে।
মঙ্গলবার কাতারের আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে আর্জেন্টিনা। খেলার ১০ম মিনিটে সৌদি আরবের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে গোল নিশ্চিত করেন মেসি।
এরপর ২২, ২৮ ও ৩৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে ৩টি গোল করেন মেসি ও লাউতারো মার্টিনেজ। কিন্তু অফসাইডের কারণে শেষ তিনটি গোলই বাতিল হয়।
১-০ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই বিশ্বকে চমকে দেয় সৌদি আরব। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে ৪৮ ও ৫২ মিনিটে সালেহ আলসেহরি ও সেলিম আল দাওসারির করা গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সৌদি আরব।
এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর্জেন্টিনা। যে কারণে ২-১ গোলে হেরে মাঠ ত্যাগ করে লিওনেল মেসিরা।
এর আগেও বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে পাঁচবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে আসর শুরু করে আর্জেন্টিনা।
১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সুইডেনের কাছে ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা।
১৯৫৮ সালেও পশ্চিম জার্মানির কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে হারে আর্জেন্টিনা।
১৯৭৪ সালে প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডের কাছে ৩-২ গোলে হারে আর্জেন্টিনা।
১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারে আর্জেন্টিনা।
১৯৮৬ সালে দিয়াগো ম্যারাডোনার সৌজন্যে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালেও ট্রফি জয়ের দাবিদার ছিল তারা। কিন্তু নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারে আর্জেন্টিনা। সেই হারের ধাক্কা সামলে একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় ম্যারাডোনার দল। ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা।