ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও
জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এ বছর হচ্ছে না। এ স্তরের
শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে
উত্তীর্ণ করা হবে। তবে তারা শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ পাবে।

আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল
অবহিতকরণ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের বিপরীতে শিক্ষক
নিয়োগের সুপারিশের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক
ও উচ্চশিক্ষা অধিদফরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির, এনটিআরসিএ’র
চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান প্রমুখ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা থাকছে না। ২০২৩ সালে এ পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন দেখছি
না। তাই বলা যায়, আর অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না। নতুন আর এ
পরীক্ষা নেওয়ার কোনও চিন্তা-ভাবনা নেই।’
নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হবে আশা করছি। ঘোষণার দিন থেকে শিক্ষক-
কর্মচারীরা এমপিও সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

শিক্ষক নিয়োগ ফলাফলের বর্ণনা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের বিপরীতে ১১ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষক
নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ ও ‘ওয়েটিং লিস্ট’ থেকে এ শিক্ষক
নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়। এনটিআরসিএ প্রকাশিত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি ২০২২ এর
আওতায় ১৫ হাজার ১৬৩টি শূন্য পদে নিয়োগ সুপারিশের জন্য এবং ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির
আওতায় নিয়োগ সুপারিশের পর যে সব পদে কেউ যোগদান করেনি বা পুলিশ ভেরিফিকেশন
ফরম দাখিল করেননি এমন ৩ হাজার ৭৮১টি পদে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, এনটিআরসিএ'র ৩য় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় যে সব পদে
কেউ আবেদন করেননি এমন ১৫ হাজার ১৬৩টি শূন্য পদে নিয়োগ সুপারিশ করার জন্য গত
৬ ফেব্রুয়ারি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ লাখ ৪৩
হাজার ৪০৭টি আবেদন পাওয়া যায়। এই আবেদনগুলো টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের
সফটওয়্যারের মাধ্যমে মেধা ও চাহিদা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করা হয়। এতে মোট ৮
হাজার ৩৫৯ জনের আবেদন পাওয়া গেছে। তার মধ্য থেকে মেধা ও চাহিদার ভিত্তিতে ৪
হাজার ৭৫২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচন করা হয়।