ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই) :  
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, করোনা সংক্রমণ
বিস্তাররোধে চলমান লড়াইয়ে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য। করোনা সংক্রমণের
বিদ্যমান পরিস্থিতির অগ্রগতিতে চিকিৎসক, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-
সাংস্কৃতিক এবং স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে সংক্রমিত হওয়ার
আগে প্রতিরোধের ভিত্তি তৈরি হবে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও মাস্ক ব্যবহারসহ
স্বাস্থ্যবিধি মানতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের
ভূমিকা অপরিসীম বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী গতরাতে নেত্রকোণা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত সভায় প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও
অন্যান্য সরকারি কার্যক্রম সুসমন্বয়ের লক্ষ্যে নেত্রকোণা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প
মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানার উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর
রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু,
সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, হাবিবা রহমান খান শেফালী, নেত্রকোণা সদর পৌরসভার
মেয়র নজরুল ইসলাম খান ও স্থানীয় সিভিল সার্জন অনুষ্ঠানে নেত্রকোণার সার্বিক
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী করোনা সংক্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
স্থানীয়ভাবে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের
প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন,
করোনাভাইরাসের ধরণ প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশসহ এই অঞ্চলের
দেশসমূহে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট প্রকট আকারে রূপ নিয়েছে। একসময় সাধারণ মানুষের ধারণা
ছিলো করোনা শহরের মানুষের রোগ। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উল্টো। করোনাভাইরাস গ্রামে
ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিস্তাররোধে সীমান্ত
উপজেলাসমূহে বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী নেত্রকোণা সদরে করোনা রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা
তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অক্সিজেন, সিসিও, আইসিও ও ভেন্টিলেটরসহ
করোনা চিকিৎসার যে সব উপকরণের ঘাটতি আছে তা যথাসময়ে ব্যবস্থা করতে না পারলে
বিপর্যয় থেকে এই জনপদকে রক্ষা করা কঠিন হবে। তিনি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়

প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনাকে একটি
অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ উল্লেখ করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ
করতে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক সাথে আলোচনা
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংকট
মোকাবিলায় আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তিনি চলতি
লকডাউন সফল করতে প্রশাসনকে মানবিকতা ও কঠোরতার সমন্বয়ে কাজ করার পরামর্শ
দেন।
জেলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে চলতি লকডাউন
কঠোরভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।