ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
আগস্ট বাঙালির জীবনে শোকাহত ও অভিশপ্ত মাস, বেদনা আর শোকের দুর্বিষহ স্মৃতির
মাস। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত
ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। বিশাল হৃদয়ের যে মানুষটিকে
কারাগারে বন্দি রেখেও পাকিস্তানি হানাদাররা স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি, অথচ স্বাধীন বাংলার
মাটিতে নির্মমভাবে সপরিবারে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর সেই দুঃষহ
স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে গোটা জাতি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান
বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া
মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৪৭ থেকে ৭১— এই দীর্ঘ পথপরিক্রমণে একেকটি আন্দোলনের
সোপান উত্তরণের মাঝে একেক গুচ্ছ তরুণ তাজা তপ্ত প্রাণ অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। কিন্তু এ সব
কিছুরই পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ প্রতীক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বায়ত্তশাসন
থেকে স্বাধিকার, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তরণ— এর সমস্ত কিছুর অগ্রভাগে ছিলেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন আন্দোলনের স্থপতি। ছাত্র অধিকার আন্দোলন, সাধারণ
মানুষের মৌলিক অধিকারের সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের
সাধারণ নির্বাচন এবং একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবার পথপরিক্রমায় বরণ করেন ৪ হাজার ৬
শত ৮২ দিন কারাবাস। আর এর সাথে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শূন্য থেকে শুরু করেন দেশ বিনির্মাণের কঠিনতম কাজ। ১৯৭২ সালেই তিনি
প্রণয়ন করেন বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামজিক উন্নয়নের
সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন যার ভিত্তি মূলে আমাদের আজকের বাস্তবতা রূপ লাভ করেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম
বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই আমরা এগিয়ে যাবো। বঙ্গবন্ধুকে শুধু মুখে নয়, অন্তরে ধারণ করে
আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অতুলনীয় বিশাল ব্যক্তিত্ব। ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড জঘন্যতম
হত্যাকান্ড যার নজির ইতিহাসে বিরল ঐ কালরাতে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও নির্মমভাবে হত্যা করা
হয়। জাতির পিতা অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের আর্থিক খাতগুলোর জন্য মহা পরিকল্পনা প্রণয়ন
করেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি।
পাশাপাশি আজ বিকালে বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত স্বাধীনতার মহান
স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন- যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের
ক্ষতির পরিমাণ এবং ভয়াবহতা ছিল অবর্ণনীয়। পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশকে
এক ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, সারাদেশের মানুষজনের হাতে
তখন মাত্র চার কোটি টাকার মতো ছিল। বৈদেশিক মুদ্রার কোনো মজুদ বাংলাদেশ ব্যাংকে ছিল না। মাত্র ১০