কুমিল্লা সদর-৬ আসনের সাবেক এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা সহ ২২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি ফিরোজ হোসেন। এর আগে সোমবার রাতে কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থা তাল তলা এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকাল সাড়ে তিনটায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে কান্দিরপাড় মোড়ে যাওয়ার জন্য দক্ষিন চর্থা তালতলা চৌমুহনী সৈয়দ বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় সমবেত হয়। এসময় এমপি বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে তাহসিন বাহার সূচনার হুকুমে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় গুলিবিদ্ধ সহ অনেকেই গুরুতর আহত হয়।
মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন- কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আমিনুর ইসলাম টুটুল, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ নুরুর রহমান, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, সোনালী ব্যাংকের সাবেক সিবিএ নেতা হাসান খসরু, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর হাবিবুল আল আমিন সাদী , সরকার মাহমুদ জাবেদ, মনজুর কাদের মনি, সৈয়দ রায়হান, আবদুস সাত্তার, কাউসারা বেগম সূমি, আজাদ হোসেন, আবুল হাসান, আবুল হাসেম, কাজী গোলাম সারওয়ার শিপন, আমিনুল ইসলাম ইকরাম, আনোয়ার হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ, আমড়াতলীর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক শিহানুক, আওয়ামীলীগ নেতা সালেহীন শায়ের, ছাত্রলীগ নেতা সালেহ আহম্মেদ রাসেল, সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম খান, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সোহেল, দক্ষিন চর্থার কাউসার আহমেদ খন্দকারসহ আরও অনেকে।