ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :
নেদারল্যান্ডসে ৭ম আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সিবিশনে (ফ্লোরিয়েড এক্সপো-২০২২,) সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। ৬মাস ব্যাপী এই এক্সপো শুরু হয়েছে ১৪ এপ্রিল শেষ হবে ৯ অক্টোবর, বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ অফিসিয়াল পার্টনার হিসাবে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে এক্সপোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ এক্সপোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে দেশের অর্জিত বিস্ময়কর সাফল্য ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি সম্ভাবনা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সম্মান আরো নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী জানান, সরকারের পাশাপাশি দেশের এসিআই, প্রাণ গ্রুপ, হাশেম ফুডস, স্কয়ার ফুডস, গ্লোবপ্যাক ফুডস, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড আ্যালাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনসহ প্রায় ২০টির মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজ খরচে যাতায়াতসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এক্সপোতে অংশগ্রহণ করছে।
মন্ত্রী বলেন, এক্সপোতে প্যাভিলিয়ন প্রস্তুত, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন, সমাপনী অনুষ্ঠান, প্যাভিলিয়ন পরিচালনাসহ সফলভাবে এক্সপোতে অংশগ্রহণের জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এক্সপো চলাকালীন (৬ মাস বা ১৮০ দিন) পর্যায়ক্রমে প্যাভিলিয়নে, নেদারল্যান্ডসে এক্সপোতে অংশগ্রহন করবেন এবং বিজনেস নেটওয়ার্কিং, দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা ও ব্রিফিং, প্যাভিলিয়ন ম্যানেজমেন্টসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, নেদারল্যান্ডসে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্যাভিলিয়নে কাজে লাগাতে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এক্সপোতে বাংলাদেশ নিজেদের উদ্ভাবন ও গ্রিন সল্যুশনস বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে।দেশের মানসম্মত নিরাপদ শাকসবজি, ফলমূল ও ফুলের এবং কৃষিপণ্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, স্টলে দেশের কৃষির বিভিন্ন সাফল্যের উপর নির্মিত ১৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এক্সপোতে বাংলাদেশ দিবস পালন ও বিভিন্ন সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও ব্রান্ডিং তৈরির সুযোগ হবে।
এবারের এক্সপোটি নেদারল্যান্ডসের Almere শহরের অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ৬০ হেক্টর বা ১৫০ একর জমি নিয়ে এই এক্সপোর আয়োজন। এক্সপোর ১০১ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। গুরুত্বের দিক দিয়ে আয়োজক দেশ ডাচ প্যাভিলিয়নের পাশের প্যাভিলিয়নটি বাংলাদেশের। ১০০০ বর্গমিটার এর প্যাভিলিয়নটি জাতীয় ফুল শাপলার ১৮টি পাপড়ির উপর দাঁড়ানো একটি প্রাকৃতিক প্যাভিলিয়ন যার বেশিরভাগ পাটের তৈরি পণ্য ও পাটের আঁশ দিয়ে সাজানো। এছাড়াও আছে হর্টিকালচার ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল ডিসপ্লে।