ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিশেষ করে চট্টগ্রাম, মোংলা বন্দর ও স্থলবন্দর ঝুঁকি নিয়ে কাজ
করছে। বেনাপোল ও চট্টগ্রাম বন্দরকে বিভিন্ন সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথ সচল রাখায় দেশে ‘চেইন অব সাপ্লাই’ বজায় রয়েছে। তিনি বলেন,
কোভিড-১৯ কে মাথায় রেখেই প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্প
বাস্তবায়নে কৃচ্ছতা সাধন নীতি অবলম্বন করতে হবে। টেন্ডার জাতীয় কার্যক্রম এখন
থেকেই শুরু করতে হবে; যাতে শুষ্ক মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি
সাধন হয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এসময়
অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, সংস্থা প্রধানগণ
এবং সংশ্লিষ্টরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৪টি প্রকল্প
বাস্তবায়ন করেছে। এগুলোর মধ্যে এডিপিভূক্ত ৪৪টি এবং নিজস্ব অর্থায়নের ১০টি
প্রকল্প। ৫৪টি প্রকল্পের মধ্যে ১১টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এডিপিভুক্ত ৪৪টি
প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি শতকরা ৯৫ ভাগ এবং নিজস্ব অর্থায়নে ১০টি প্রকল্প
বাস্তবায়নের অগ্রগতি শতকরা ৬৩ ভাগ। ৫৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সার্বিক অগ্রগতি
শতকরা ৮৮ ভাগ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে অগ্রগতি ছিল ৮৪.৭৩ ভাগ। ২০২১-২২ অর্থবছরে
এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ৪,০১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থ ২,৮৮৫ কোটি
৩৪ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১,১৩২ কোটি টাকা।
এছাড়া, এডিপিভুক্ত ৪৪টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন
কর্তৃপক্ষের ১৯টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের
সাতটি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দু’টি, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের একটি,
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি, বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের দু’টি, নৌপরিবহন অধিদফতরের একটি এবং মোংলা
বন্দর কর্তৃপক্ষের আটটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ১০টি প্রকল্পের
মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচটি, বিআইডব্লিউটিসি’র তিনটি, মোংলা বন্দর
কর্তৃপক্ষের একটি এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি প্রকল্প।